সেমিস্টারের শুরুর দিকে,
যখন ক্যাম্পাসে কিছুই করার থাকেনা তেমন, ইন্সিটিউট হলটাও পড়ে থাকে তালাবদ্ধ,
চারিদিকে একটা ঝিমিয়ে পড়া ঘুমন্ত পরিবেশ, তখন বেসুর নাট্যদল ‘লে থেস্পিয়ান্স’-এর
উপর যেন দায়িত্ব পড়ল ঘুমন্ত ক্যাম্পাসকে জাগিয়ে তোলার, ইন্সিটিউট হলটাকে নতুনভাবে
সাজিয়ে তোলার – বেসুর প্রাঙ্গনকে ‘অনুরণিত’ করে তোলার।
‘অনুরণন’ বেসুর নাট্যদল ‘লে
থেস্পিয়ান্স’ কর্তৃক আয়জিত চারদিনব্যাপি নাট্যোৎসব। ‘মেফিস্টো’, ‘বিষাদকাল’,
‘নীলকণ্ঠ’ সহ আরও অনেক নাটক নিয়ে এই নাট্যমেলা ছিল বিনোদনের ভাণ্ডার।
‘অনুরণন’-এর প্রথমদিনের
আয়োজনে ছিল নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্রী সুমন মুখোপ্যাধ্যায়-পরিচালিত, শ্রী গৌতম
হালদার-অভিনীত বিখ্যাত নাটক ‘মেফিস্টো’। নাটকটি দেখার সময় হয়তো দর্শকরা ইন্সিটিউট
হলের স্টেজটাকে টি.ভি-র বড়পর্দা মনে হচ্ছিল কিছুক্ষণের জন্য। অনেকের হয়তো এক
মুহূর্তের জন্যও চোখের পলক ফেলতে ভুলে গিয়েছিল।
‘লে থেস্পিয়ান্স’
দ্বিতীয়দিন নিয়ে এল আয়না নাট্যগোষ্ঠীর আয়োজিত নাটক ‘কারিগর’। শিল্পীর সৃষ্টি আর শৈল্পিক
ছোঁওয়া নাটকটির শিল্পগুণ অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।
তৃতীয়দিনে অনুরণন নিয়ে এল
‘অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার’ আয়োজিত মাল্টি-লিঙ্গুইস্টিক নাটক ‘বিষাদকাল’।
দেখতে দেখতে চলে এল
‘অনুরণনের’ শেষ দিন।
অবশেষে স্টেজে উঠল বেসুর নাট্যদল ‘লে থেস্পিয়ান্স’ ।
‘লক্ষ্মীছাড়ার পাঁচালী’ ও ‘নীলকণ্ঠ’ দিয়ে শেষ হয় ‘অনুরণন’। ভিন্নধর্মী ও অদ্ভুত
সুন্দর এই নাটকদুটি যেন ‘অনুরণন’কে পরিপূর্ণ করে তোলে।
‘অনুরণন’ শেষ হয়নি –
‘অনুরণন’ আসবে প্রতি বছর। নাট্য-উৎসবে ভরিয়ে তুলবে চারদিক। বেসু ক্যাম্পাস অপেক্ষা
করে আছে আসছে বছর ‘অনুরণন’কে স্বাগত জানাবে বলে।
excellent
ReplyDelete